অ্যাকুরিয়ামে গাছ লাগানো এখন খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে অ্যাকুয়াকালচারের জগতে।
এই গাছগুলো শুধুমাত্র অ্যাকুরিয়ামের সৌন্দর্যই বাড়ায় না, বরং ট্যাঙ্কের জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
গাছপালা অতিরিক্ত পুষ্টি উপাদান এবং ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান শোষণ করে প্রাকৃতিক ফিল্টারের মতো কাজ করে। এ ছাড়াও এগুলো বড় মাছ এবং তাদের বাচ্চাদের জন্য আশ্রয়স্থল ও ছায়া প্রদান করে, যার ফলে শৈবালের বৃদ্ধি কমে যায়।
এই প্রবন্ধে আমরা বিভিন্ন ধরনের অ্যাকুরিয়ামের উপযোগী সেরা জলজ গাছগুলো নিয়ে আলোচনা করব—যেগুলো নতুন এবং অভিজ্ঞ উভয় ধরনের শৌখিনদের জন্যই উপযোগী। পাশাপাশি এগুলোর যত্ন ও প্রজননের পদ্ধতিও ব্যাখ্যা করব।
নতুনদের জন্য অ্যাকুরিয়াম গাছ
গাছপালা বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে—কিছু প্রজাতির যত্ন নেওয়া কঠিন, আবার কিছু প্রজাতি সহজেই পালা যায়। এই অংশে আমরা এমন কিছু গাছ নিয়ে আলোচনা করব যেগুলো রক্ষণাবেক্ষণের দিক থেকে অনেক সহজ।
এই গাছগুলো বিশেষভাবে উপযোগী তাদের জন্য, যারা একেবারে নতুনভাবে অ্যাকুরিয়ামে গাছ পালা শুরু করছেন।
অবশ্যই, নিচে পুরো অংশটির বাংলায় অনুবাদ দেওয়া হলো, যথাযথ ভাষান্তর ও সামান্য পুনর্গঠনসহ, যেন এটি সাবলীল এবং মৌলিক লাগে:
১. অ্যামাজন সোর্ড (Amazon Sword)
এর নাম থেকেই বোঝা যায়, অ্যামাজন সোর্ড গাছটি দক্ষিণ আমেরিকার অ্যামাজন অববাহিকার স্থানীয় উদ্ভিদ। এটি ৬০.৮°F থেকে ৮২.৪°F তাপমাত্রা এবং ৬.৫ থেকে ৭.৫ pH-যুক্ত পানিতে ভালোভাবে বেড়ে ওঠে।
এই গাছ দেখতে ঝোপের মতো এবং এর লম্বা পাতাগুলো দেখতে অনেকটা তলোয়ার বা বর্শার মতো, যা সরাসরি শিকড় থেকে উঠে আসে।
গাছটির শিকড় গাঁথতে হবে এমন কোনো সাবস্ট্রেটে (যেমন নুড়ি বা গ্র্যাভেল) যাতে শিকড় বাড়তে পারে। সাবস্ট্রেটের নিচে যদি অ্যাকুরিয়াম সয়েল মেশানো যায়, তাহলে গাছের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ হবে। তবে তরল সার দিলেও সেই পুষ্টি পাওয়া যায়।
এই গাছ নিজের থেকেই ছোট ছোট নতুন গাছ বা ‘প্ল্যান্টলেট’ তৈরি করে, যেগুলোতে নিজস্ব পাতাও শিকড় গজায়। যখন এই নতুন গাছ গঠিত হয়, তখন এগুলোকে মূল গাছ থেকে কেটে অ্যাকুরিয়ামের অন্য জায়গায় লাগানো যায়।
২. ডাকউইড (Dakweed)
ডাকউইড এক ধরনের ছোট ভাসমান জলজ গাছ।
এটি সাধারণত পুকুর, নদী, এবং হ্রদের জলে দল বেঁধে জন্মাতে দেখা যায়। প্রতিটি গাছ প্রায় ১.৫ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হতে পারে।
এই গাছটি রাখা খুবই সহজ, কারণ এদের শুধু পানির পুষ্টি উপাদান এবং পর্যাপ্ত আলো দরকার। এই দুটি উপাদান পেলে এটি দ্রুত বংশবিস্তার করে থাকে, একটি প্রক্রিয়া যা vegetative reproduction নামে পরিচিত।
এটি ৬.৫ থেকে ৭.৫ pH যুক্ত জলে ভালোভাবে বেড়ে ওঠে এবং বিভিন্ন প্রজাতি গরম এবং ঠান্ডা জলের পরিবেশ—দু’টোতেই বেঁচে থাকতে পারে।
ডাকউইড পানির অতিরিক্ত পুষ্টি ও ক্ষতিকর উপাদান শোষণ করে পানিকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। এর শিকড় ছোট মাছের বাচ্চাদের (যেমন গাপ্পি) জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করে।
এই গাছের আরেকটি বড় সুবিধা হলো এটি পানির উপরিভাগে ছায়া তৈরি করে, ফলে শৈবাল গজানোর সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। তবে গাছটি যাতে অতিরিক্ত ঘন না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে, কারণ পানির নিচে থাকা গাছগুলোরও আলো প্রয়োজন।
বেশিরভাগ জলজ গাছ সাবস্ট্রেটে শিকড় গাঁথে, তবে ভাসমান গাছগুলো পানির ওপরে ভেসে থাকে এবং শিকড় পানিতে ঝুলে থাকে। এরা পানির মধ্য থেকে সরাসরি পুষ্টি গ্রহণ করে।
এই ধরনের গাছ অ্যাকুরিয়ামের জন্য খুব ভালো, কারণ তারা মাছদের আশ্রয় ও ছায়া দেয় এবং পানি পরিষ্কারে সাহায্য করে।
৩. হর্ণওয়ার্ট (Hornwort)
হর্ণওয়ার্ট একটি বহুমুখী গাছ, যেটি ভাসমান হিসেবেও রাখা যায়, আবার চাইলে সাবস্ট্রেটেও গেঁথে রাখা যায়। আপনি আপনার অ্যাকুরিয়ামে যেভাবে দেখতে চান, সে অনুযায়ী এটি ব্যবহার করা যায়।
ভাসমান অবস্থায় রাখলে এটি মাছদের জন্য আশ্রয় এবং ছায়া প্রদান করে এবং একই সঙ্গে শৈবাল প্রতিরোধেও কাজ করে।
গাছটির সবুজ লম্বা কান্ড থাকে যার চারপাশে ছোট ছোট পাতার শাখা বিস্তার করে থাকে।
এটি অযৌন প্রজননের মাধ্যমে নিজে থেকেই নতুন গাছ গজাতে পারে, তবে এজন্য পর্যাপ্ত আলো এবং পুষ্টি থাকা দরকার। এদের ভালোভাবে পালতে হলে ৬.০ থেকে ৭.৫ pH এবং ৫৯°F থেকে ৮৬°F এর মধ্যে তাপমাত্রা বজায় রাখতে হয়।
এই গাছ নানা ধরনের পরিবেশে টিকে থাকতে পারে বলে এটি অনেক সময় অন্যান্য অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে এবং আক্রমণাত্মক প্রজাতি (invasive species) হিসেবে চিহ্নিত হয়।
৪. ওয়াটার লেটুস (Water Lettus)
ওয়াটার লেটুস বা জল বাধাকপি নামেও পরিচিত, দেখতে অনেকটা লেটুস পাতার মতো ভাসমান সবুজ জলজ উদ্ভিদ।
এর পুরু কিন্তু কোমল পাতা একটি খোলা বাধাকপির মতো দেখতে এবং মাঝে মাঝে এর কেন্দ্রে ছোট ছোট ফুলও দেখা যায়।
এই গাছটি দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকা এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার গরম পানির অঞ্চলে পাওয়া যায়। এটি প্রায় সব গরম মিঠা জলে বেড়ে উঠতে পারে, যার ফলে এটিও একটি আক্রমণাত্মক প্রজাতি হিসেবে বিবেচিত।
ওয়াটার লেটুস একটি dioecious উদ্ভিদ, অর্থাৎ একটি গাছে শুধু পুরুষ বা শুধু স্ত্রী প্রজনন অঙ্গ থাকে—দুটো একসঙ্গে না। তবে এরা শুধু যৌন প্রজননের মাধ্যমেই বংশবিস্তার করে না, বরং অযৌনভাবে রানারস-এর সাহায্যে মায়ের সঙ্গে মেয়েগাছ সংযুক্ত অবস্থায় ছড়িয়ে পড়ে।
এই গাছগুলো দেখভাল করাও খুবই সহজ—শুধু ভালো আলো এবং পানিতে পর্যাপ্ত পুষ্টি (যেমন মাঝে মাঝে সার) সরবরাহ করলেই হয়।
৫. অ্যানুবিয়াস (Anubias)
অ্যানুবিয়াস গাছ মূলত শিকড় দিয়ে পুষ্টি গ্রহণ করে, তাই একে অ্যাকুরিয়ামের নিচে, যেমন নুড়ি বা গ্র্যাভেল সাবস্ট্রেটে গাঁথা উচিত। এই উদ্ভিদ মূলত পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার নদী, জলাভূমি ও খালের বাসিন্দা।
Anubias Nana হলো একটি জনপ্রিয় প্রজাতি, যা কম আলোতেও ভালোভাবে বেঁচে থাকতে পারে। এই গাছ বেশ মজবুত প্রকৃতির এবং নানা ধরণের পানির পরিবেশে টিকে থাকতে পারে। একে ৬.০ থেকে ৭.৫ pH এবং ৭২°F থেকে ৮২°F তাপমাত্রার পানিতে রাখা সবচেয়ে উপযুক্ত।
এর মোটা সবুজ কান্ড সাবস্ট্রেটে গেঁথে রাখা যায় বা চাইলে ড্রিফটউড বা পাথরের গায়েও বেঁধে রাখা যায়। এই কান্ড থেকে ছোট ছোট ডাল বের হয়, যার ডগায় পাতাগুলো জন্মায়। পাতাগুলো সবুজ ও মোম-জাতীয় আবরণে ঢাকা থাকে।
এই গাছ সহজে প্রজনন করতে পারে rhizome division-এর মাধ্যমে। অর্থাৎ গাছের কান্ডের একটি অংশ ভেঙে মাটিতে পড়লে, সেখানে নতুন শিকড় ও পাতা গজিয়ে একটি নতুন গাছে পরিণত হয়। আপনি চাইলে কান্ডের কাটা অংশ নিজে থেকেই অন্য জায়গায় লাগাতে পারেন, তবে খেয়াল রাখতে হবে যাতে সেই অংশে পর্যাপ্ত পাতা থাকে, যাতে তা আলো পেয়ে নিজের খাদ্য তৈরি করতে পারে।
৬. জাভা ফার্ন (Java Fern)
জাভা ফার্ন একটি অত্যন্ত সহনশীল ও শক্তপোক্ত প্রজাতি, যা বিভিন্ন ধরনের পানি ও পরিবেশে অনায়াসে বেঁচে থাকতে পারে।
এটি সাধারণত সাবস্ট্রেটে (যেমন গ্র্যাভেল) লাগিয়ে রাখা যায় অথবা পাথর বা কাঠের গায়ে বেঁধেও রাখা যায়। এই গাছ মূলত শিকড়ের মাধ্যমেই পুষ্টি গ্রহণ করে।
এটি গরম পানির ট্যাঙ্কে ভালো থাকে—তাপমাত্রা হওয়া উচিত ৬২°F থেকে ৮২°F-এর মধ্যে এবং pH হওয়া উচিত ৬.০ থেকে ৭.৫।
জাভা ফার্ন কম থেকে মাঝারি আলোতেই ভালোভাবে বেড়ে ওঠে, তাই একে দেখাশোনা করা খুবই সহজ।
এই গাছ মূলত দুটি অংশ নিয়ে গঠিত – এক হলো রাইজোম (কান্ড) এবং অন্যটি পাতা। প্রজননের দুটি উপায় রয়েছে:
Rhizome division – গাছের রাইজোম বা কান্ডের কিছু অংশ কেটে অ্যাকুরিয়ামের অন্য জায়গায় বসানো যায়, যেখানে তা নতুন গাছে পরিণত হয়।
ছোট ফার্ন উৎপন্ন হওয়া – পাতা গুলোর নিচের দিকে ছোট ছোট নতুন গাছ (ছোট ফার্ন) গজাতে পারে। সেগুলো যখন নিজের পাতা ও শিকড় তৈরি করে নেয়, তখন সেগুলো কেটে নতুন জায়গায় বসানো যায়।
৭. ভ্যালিসনারিয়া (Vallisneria)
ভ্যালিসনারিয়া উদ্ভিদকে অনেক সময় ঈলগ্রাস (eelgrass) ও বলা হয়, কারণ এর পাতাগুলো দীর্ঘ ফিতের মতো দেখতে। এর শিকড় পুষ্টিকর এবং বাতাস চলাচলযোগ্য সাবস্ট্রেটে লাগানো উচিত যাতে শিকড় সহজে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
এটি একটি শক্তপোক্ত এবং দ্রুত বৃদ্ধির ক্ষমতাসম্পন্ন গাছ, যা নতুন অ্যাকুরিয়ামপ্রেমীদের জন্য আদর্শ।
জীবনযাপনের উপযোগী পরিবেশ:
তাপমাত্রা: ৬৮°F থেকে ৮২°F
pH: ৬.৫ - ৮.৫
আলো: কম থেকে মাঝারি আলো
আকর্ষণীয় বিষয় হলো, এই গাছে পুরুষ ও নারী ফুল আলাদাভাবে তৈরি হয়। যদিও অ্যাকুরিয়ামে এটি খুব সাধারণ নয়।
নারী ফুল: পানির উপরের দিকে থাকে।
পুরুষ ফুল: পানির নিচে জন্মায় এবং পরে আলগা হয়ে ভেসে উঠে নারী ফুলের দিকে এবং সেগুলোতে পরাগায়ণ ঘটে।
লাল অ্যাকুরিয়াম গাছ (Red Aquarium Plants)
অধিকাংশ অ্যাকুরিয়াম গাছ সবুজ রঙের হয়, কারণ এগুলোর প্রধান রঞ্জক পদার্থ হলো ক্লোরোফিল, যা সবুজ এবং আলোক সংশ্লেষণের জন্য অপরিহার্য।
তবে কিছু গাছে প্রধান রঞ্জক পদার্থ হিসেবে অ্যান্থোসায়ানিন (Anthocyanin) থাকে, যার ফলে গাছের রঙ লালচে হয়।
৮. লুডভিগিয়া রেপেন্স (Ludwigia Repens)
এই গাছটি দক্ষিণ আমেরিকা থেকে উৎপত্তি হয়েছে বলে মনে করা হয়। রঙিন গাছ হিসেবে এটি Dutch-style aquascape অ্যাকুরিয়ামে খুব জনপ্রিয়।
একক কান্ডযুক্ত গাছ, যার শিকড় বড় দানার সাবস্ট্রেটে লাগানো উচিত।
পাতাগুলো গাঢ় সবুজ থেকে গাঢ় লাল পর্যন্ত রঙের হতে পারে।
পরিবেশ:
তাপমাত্রা: ৫৯°F - ৮৬°F
pH: ৫ - ৮
প্রজনন:
পরিণত গাছে গরম কালে পানির ওপর ফুল ফোটে।
ফুল থেকে বীজ তৈরি হয়, যা পরে নিচে পড়ে নতুন গাছে পরিণত হয়।
৯. একিনোডোরাস (Echinodorus)
Red Diamond Echinodorus একধরনের অ্যামাজন সোর্ড গাছ, যা E. hartmanni ও E. barthii প্রজাতির সংকর রূপ। এর লালচে, তরবারির মত পাতা একে বিশেষভাবে আলাদা করে তোলে।
পরিবেশ:
তাপমাত্রা: ৬১°F - ৮২°F
pH: ৬.৫ - ৭.৫
রোপণ ও প্রজনন:
পুষ্টিকর অ্যাকুরিয়াম মাটি এবং গ্র্যাভেলের নিচে লাগাতে হবে।
তরল সার যোগ করলে আরও ভালো হয়।
এ গাছ নিজের সন্তান গজায়, যাদের শিকড় ও পাতা তৈরি হলে আলাদা করে বসানো যায়।
অ্যাকুরিয়াম কার্পেট গাছ (Aquarium Carpet Plants)
এই বিভাগে আমরা আলোচনা করব সেরা তিনটি কার্পেটিং গাছ নিয়ে।
১০. জাভা মস (Java Moss)
এই গাছটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্থানীয় এবং বিভিন্ন পানির অবস্থায় বেঁচে থাকতে পারে।
পরিবেশ:
তাপমাত্রা: ৫৯°F - ৮৬°F
pH: ৫.০ - ৮.০
আলো: কম থেকে বেশি, সবধরনের আলোতে টিকে থাকে
বৈশিষ্ট্য:
ছোট ছোট ডালবিশিষ্ট মস প্রজাতির গাছ
পাতাগুলো উজ্জ্বল সবুজ ও ডিম্বাকার
রোপণ ও বংশবৃদ্ধি:
পাথরে বেঁধে রাখা যায়, পরে নিজে থেকে আটকে যায়।
মূল ক্লাম্প থেকে একটি অংশ কেটে দিলে সেটি নিজে থেকেই বেড়ে উঠে এবং নতুন ট্যাঙ্কেও লাগানো যায়।
১১. ওয়াটার উইস্টেরিয়া (Water Wisteria)
এই গাছটি ভারতের উপমহাদেশে পাওয়া যায়। এর ডালগুলো প্রায় ২০ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হতে পারে।
বৈশিষ্ট্য:
উজ্জ্বল সবুজ পাতা, পাতায় সরু খাঁজ থাকে
সাবস্ট্রেটে রোপণ করা যায় অথবা মাটির ওপরে বিছানো হয় কার্পেট আকারে
পরিবেশ:
তাপমাত্রা: ৭০°F - ৮২°F
pH: ৬.৫ - ৭.৫
আলো: মাঝারি থেকে বেশি
১২. পিগমি চেইন সোর্ড (Pygmy Chain Sword)
এই ছোট সাইজের সোর্ড গাছ দক্ষিণ আমেরিকার উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের স্থানীয় উদ্ভিদ।
বৈশিষ্ট্য:
লম্বায় প্রায় ৪ ইঞ্চি এবং প্রস্থে ১ ইঞ্চি
পাতাগুলো সরু ও সোজা উঠে যায়
পাতার রং হালকা সবুজ থেকে হালকা লালচে
রোপণ ও প্রজনন:
বড় দানার বালি বা গ্র্যাভেল সাবস্ট্রেটে লাগাতে হয়
সময়ের সাথে সাথে রানার তৈরি করে পুরো এক অ্যাকুরিয়াম ঢেকে ফেলে
রানার থেকে নতুন গাছ আলাদা করে অন্য ট্যাঙ্কে লাগানো যায়
পরিবেশ:
তাপমাত্রা: ৬৮°F - ৮৪°F
pH: ৬.২ - ৭.৫
আলো: বেশি আলোতে দ্রুত বৃদ্ধি
সারাংশ (Summary):
এই গাছগুলো বিভিন্ন রঙ, আকার এবং অবস্থান অনুযায়ী অ্যাকুরিয়ামে অনন্য সৌন্দর্য আনে।
এরা অ্যাকুরিয়ামের জলের বিশুদ্ধতা বজায় রাখে, মাছদের আশ্রয় ও ছায়া দেয়।
আজকাল মানুষ বেশি করে প্ল্যান্টেড অ্যাকুরিয়ামের দিকে ঝুঁকছে কারণ তা মাছ ও চিংড়িদের জন্য প্রাকৃতিক পরিবেশ তৈরি করে।
আমরা যেসব গাছের আলোচনা করলাম তারা সবই শক্তপোক্ত, দ্রুত বেড়ে ওঠে এবং সহজে মানিয়ে নিতে পারে – ফলে যত্ন নেওয়া সহজ।